আদিত্য নজরুল
আমার জন্মের পর
নাড়ি কেটে সম্ভবত কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে
পুতে রেখে এসেছিলেন বাবা;
আমি যেনো ধারালো তরবারির মতো
শানিত মেধায় বড় হতে পারি।
প্রার্থনালয়ের মাঠেও
পুতে রেখে আসতে পারেন
এ সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
আমি যেনো শতবর্ষী হই
এই প্রার্থনা করে-
গাঁয়ের প্রান্তরে হাটু মুড়ে বসে থাকা বৃদ্ধবট গাছটির
নিচে পুঁতে রেখে আসতে পারেন
এ আন্দাজ উড়িয়ে দেয়া যায় না।
প্যাকেটের গায়ে ভ্রমণ পিপাসু
কোনো পর্যটকের নাম লিখে
হয়তো গভীর অরণ্যের বুকে
রেখে এসেছিলেন পিতা তার পুত্রের অমূল্য নাড়ি।
আমার শান্তিপ্রিয় বাবা-
তাঁর সামর্থ্য থাকলে হয়তো
জাতিসংঘের সদর দপ্তরে-
পুতে রেখে আসতেন তার স্নেহের পুত্রের নাড়ি।
এতো ভালোবাসা কেনো বুকে?
গোলাপ বাগানে কী পুঁতে
এসেছিলো আমার নাড়ি!
বেঁচে থাকলে এ কথাও জিজ্ঞেস করতাম।
কিন্তু বিশ্বাস করি যে আমার সংসারী বাবা
সমুদ্রের বুকে ফেলে আসেননি
তার সন্তানের নাড়ি।
তবু কেনো আমার দু’চোখে
এতো এতো ঢেউয়ের নৃত্য আছড়ে পড়ছে!
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন