bibidho-smriticharan-sankha-ghosh

শঙ্খ ঘোষকে নিয়ে এলোমেলো কথা
স্মৃতিচারণ
সৌমিত্র বসু

গুরুগম্ভীরআলোচনা যাঁরা করেন, বিদ্যার বাইরে তাঁদের একটা বিশেষ মনোভঙ্গি থাকে। দুর্ভাগ্য বা সৌভাগ্যের বিষয় আমার তা নেই। আমি যে কোনো একটা বিষয় সম্পর্কে আমার যা কিছু ধারনা তৈরি হয়েছে সে কথা বলতে পারি, তাকে রেফারেন্সের সঙিন দিয়ে সাজাবার বিদ্যে আমার অজানা। শঙ্খ ঘোষের লেখায় যে রেফারেন্স প্রায় কখনো থাকে না, তাতে আমি অন্তত একটা অন্যরকমের আরাম পাই। এইটুকু বলে নিয়ে লেখাটা শুরু করলাম।

শঙ্খ ঘোষকে নিয়ে যে কোন লেখা আমি এই গল্পটা দিয়ে শুরু করবই, এটা যেমন অনেকে প্রাতঃপ্রণাম করেন, সেইরকম অভ্যেস হয়ে গেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএ ক্লাসে পড়ি, বাংলা নিয়ে। ‘রক্তকরবী’র প্রথম ক্লাস। নেবেন প্রখ্যাত শঙ্খ ঘোষ। আগে থেকে বলা ছিল, নাটকটা ভাল করে পড়ে আসতে হবে। এসেছি। তার সঙ্গে, সেই বয়সে যা হয়, একটা দুটো রেফারেন্স বইও পড়া হয়ে গেছে। শুরু হল একটা খেলা দিয়ে। ‘রক্তকরবী’ নাটকের গল্পটা বলতে হবে। তবে একটাই শর্ত, সে গল্প বলতে গিয়ে ‘প্রতীক’, ‘রূপক’ বা ‘সাংকেতিক’ এই সব শব্দ বলা চলবে না। এক এক করে ছাত্রীরা (আমি ছাড়া সে ক্লাসে আর মোটে একজন ছাত্র ছিল, এখন সে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিবব্রত চট্টোপাধ্যায়, বাকি সবাই ছাত্রী) উঠছে এবং ধরাশায়ী হচ্ছে। আমি অনেক দূর পর্যন্ত সামলে-সুমলে বলতে পেরেছিলাম, তারপরে যেই না বলেছি “নন্দিনী হল প্রাণের প্রতীক”, অমনি সবাই মিলে হইহই করে বসিয়ে দিল। পরবর্তীকালে আমিও ‘রক্তকরবী’ পড়িয়েছি, আর অভ্রান্তভাবে প্রথম ক্লাস শুরু করেছি এই খেলাটা দিয়ে।

কেন? তার দু’তিনটে কারণ আছে। একটা তো হল এই নাটক সম্পর্কে, বা হয়ত সাধারণভাবে রবীন্দ্রনাথের নাটক সম্পর্কে জ্ঞানী পণ্ডিতদের লেখা থেকে তৈরি হওয়া ভয় ভাঙিয়ে একটা মজা তৈরি করা। দ্বিতীয়ত, নাটকটাকে নাটক হিসেবে পড়া, যার মধ্যে একটা টানা গল্প থাকবে, চরিত্র থাকবে, নাটক বা কাহিনীর যা কিছু প্রাথমিক শর্ত সেই উৎকণ্ঠা এবং তার নিরসন থাকবে, নানা রকম দ্বন্দ্ব থাকবে। শুরুতেই রূপক প্রতীক সাংকেতিকের চক্করে পড়ে গেলে এই প্রাথমিক জমিটা চেনা হয় না, ফলে নাটকটা সাহিত্য হিসেবেই অধরা থেকে যায়। আর তিন, বা হয়ত বলা উচিত দুইয়েরই একটা প্রসারণ, ‘রক্তকরবী’যে একেবারেই আমাদের চারপাশের জীবনের কথাই বলে, যক্ষপুরী যে আসলে কোন অলীক জগৎ নয়, তা আমাদের চারপাশের এই পৃথিবীই, সেটা ছেলেমেয়েদের ধরিয়ে দেওয়া। এই একটা দুর্দান্ত কাজ করেছিলেন আমাদের মাস্টারমশাই শঙ্খ ঘোষ, সাহিত্যের সঙ্গে জীবনের সম্পর্ককে চিনিয়ে দিয়েছিলেন। সাহিত্যকে বুঝতে গেলে জীবন থেকে উদাহরণ নিয়েই তাকে চিনতে পারা যায়, তত্ত্ব ইত্যাদির কথা ভাবা যাবে পরে। এই সূত্রেই বলতে ইচ্ছে করছে, আর একজন মানুষ ঠিক এইভাবেই আমাকে রবীন্দ্রনাথের নাটক চিনতে শিখিয়েছিলেন, তাঁর নাম শম্ভু মিত্র।

শঙ্খ ঘোষকে নিয়ে আর একটা স্মৃতি আছে আমার, বড়ই দুর্মর সেই স্মৃতি। যাদবপুর পর্বের আগে, তখন স্কুলে উঁচু ক্লাসে পড়ি। একটু আধটু কবিতা লিখি, সেই কবিতা নিয়ে যাই কবি মণীন্দ্র গুপ্তের কাছে। তিনি নানারকম পরামর্শ দেন, উৎসাহ দেন। কোথাও কোথাও ছাপাও হয় সে সব কবিতার কোন কোনটা, বিশেষ করে তাঁর এবং রণজিৎ সিংহের সম্পাদনায় পরমা পত্রিকায়। মণীন্দ্র গুপ্ত এবং রণজিৎ সিংহ তখন বার্ষিক একটা পুস্তক বার করতেন, এক বছরের শ্রেষ্ঠ কবিতা। সারা বছর ধরে নানা কাগজে যে সব কবিতা ছাপা হত, তার থেকে বাছাই করে একটি কৃশ সংকলন। সেদিনটা ছিল প্রবল বৃষ্টি। স্কুলে গেছি, কিন্তু ক্লাস-টাস কিছু হচ্ছে না। মাস্টারমশাইরা আসেননি প্রায় কেউ। রেনি ডে হয়ে গেল। বৃষ্টির মধ্যে ক্লাসরুমে বসে বসে গ্যাঁজানো হচ্ছে। এবং মনে রাখবে, ক্লাস টেন কি ইলেভেনে পড়া সব ছেলে, সে আলোচনার মধ্যে অপক্ক যৌনতার নানা কথা তো চলে আসবেই। আর সেই সব রসিকতা, কচলে কচলে তেতো করে তারপর বৃষ্টি থামলে বাড়ি ফিরলাম। খুব ক্লান্ত লাগছিল। অর্থহীনতার একটা ক্লান্তি আছে না? লেটার বক্সে দেখলাম সে বারের এক বছরের শ্রেষ্ঠ কবিতা এসেছে। মেঘলা বিকেলের ভ্যাপসা গরম। মাটিতে শুয়ে খুললাম সে বই। আর কী আশ্চর্য সেই কাণ্ড, বেরিয়ে এলেন শঙ্খ ঘোষ। ‘মূর্খ বড়ো, সামাজিক নয়’কবিতাটা ছাপা হয়েছে বইয়ে। সেই প্রথম পড়া।

‘ঘরে ফিরে মনে হয় বড়োবেশী কথা বলা হল?

চতুরতা, ক্লান্ত লাগে খুব?’

ঘরের মধ্যে আধো অন্ধকার। হঠাৎ টের পেলাম, আমি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছি। কোন্‌ কবিতা কখন যে কার দরজায় ধাক্কা মারে, কে তা বলতে পারে।

এই সূত্রে শঙ্খবাবুর কাছ থেকেই শোনা একটা কাহিনী মনে পড়ে গেল। তিনি তখন বিশ্বভারতীতে। ক্লাস নিতে চান। কাদের? না, এমএ, বিএ নয়। স্কুলের ছাত্রদের। তাদের তিনি পড়াচ্ছেন আধুনিক বাংলা কবিতা। জীবনানন্দ, সুধীন দত্ত, বিষ্ণু দে। কিছুদিন পরে অভিভাবকেরা এসে হাজির তাঁর কাছে। “আপনি যে এসব পড়াচ্ছেন, ওরা কি বুঝতে পারবে?”শঙ্খবাবু জিজ্ঞেস করলেন, “ওদের কি খারাপ লাগছে? তা নয়, কিন্তু –।” এই কিন্তুর কোন উত্তর নেই। অভিভাবকেরা চিন্তিত, ছাত্ররা মহানন্দে কবিতা পড়ছে। এই কাহিনীটাও আমাকে কোথাও ভেতরে ভেতরে থমকে দিয়েছিল। আমরা যা পড়াই, তার মধ্যেই কি সাহিত্যকে না বোঝাবার উপাদান মিশে থাকে কোন চোরাপথে? এই সব তত্ত্ব, ইজম – ইত্যাদির বাইরে মানুষের মন দিয়ে মানুষের মনকে ছোঁয়ার ক্ষেত্রে কি কোন গাফিলতি থেকে যাচ্ছে আমাদের? যে কোনো শিল্পেরই তো বোধগম্যতার অনেকগুলো স্তর থাকে। আমরা অনেকে হয়ত নিচের স্তরটা স্পর্শ করতে পারছি না, কিংবা হয়ত চাইছিই না নিজেদের বিদ্যারগরিমায়।

মানুষটি এমনিতে খুব চুপচাপ, মুখচোরা, আগ বাড়িয়ে কথা বলতে চান না, সে তো সবাই জানে। একবার তাঁকে রেগে যেতে দেখেছিলাম, সেই গল্পটা বলি আপনাদের। শঙ্খ ঘোষের টিউটোরিয়াল ক্লাস আছে, অর্থাৎ তিনি আমাদের একটা প্রশ্ন দেবেন, বিষয়টা বুঝিয়ে দেবেন, তার পর আমাদের সেই উত্তরটা তৈরি করে লিখতে হবে। তিন চারজনের ক্লাস, ওঁর ঘরেই হবে। ঢুকতে গিয়ে দেখলাম একজন প্রৌঢ় মানুষ বসে আছেন সামনে। আমরা দরজার বাইরে অপেক্ষা করছি। অপেক্ষা থেকে উঁকি মারায় চলে যেতে হল, কারণ শঙ্খবাবুর ভারি ক্ষুব্ধ কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে বাইরে থেকে। “আপনি এই রকম ভাবতে পারেন কিন্তু আমি ওইভাবে লিখতে পারি না।” দেখলাম, ভদ্রলোক সংকোচে প্রায় এঁকে বেঁকে বেরিয়ে এলেন ঘর থেকে, আমরা গিয়ে ঢুকলাম। শঙ্খবাবুর কপালে ঘাম, মুখ তখনো দপ দপ করছে। জল খেলেন, তারপর রুমাল বার করে মুখ মুছলেন। বোঝা যাচ্ছিল, সহজ হবার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। “কী হয়েছে স্যার?”ঘটনাটা হল, ভদ্রলোক কোন একটা কাগজ থেকে এসেছিলেন শঙ্খবাবুর কাছে প্রবন্ধ চাইতে। প্রবন্ধ দিতে পারবেন না শুনে তিনি বলেছেন, তাহলে একটা কবিতা দিয়ে দিন। ব্যস। শঙ্খবাবু তাঁকে বলছেন, “প্রবন্ধ না পারলে একটা কবিতা লিখে দেব, আমি এমনটা পারি না। কবিতা অমন ইচ্ছে করলেই লেখা যায় বলে আমি মনে করি না।” অহংকারী মানুষ তো তাঁকে কোনোভাবেই বলা যাবে না, কিন্তু নিজের কাজটুকু সম্পর্কে গভীর শ্রদ্ধা এবং দায়িত্ববোধ না থাকলে কি এমনটা করা যায়? এই সূত্রেই বলি, সকলের জানা কথা এটা, শঙ্খ ঘোষ কোন ব্যাপারে যদি একবার না বলেন, তাহলে তাঁকে হ্যাঁ করানো একেবারেই অসম্ভব। আমি কখনো চেষ্টা করিনি, তার কারণ সে চেষ্টা যে নিস্ফল হবে তা তাঁর না-টুকু থেকেই স্পষ্ট ধরা যায়।

এই যে দায়িত্ববোধ এবং আত্মমর্যাদার বোধ, এটা তাঁর পেশাকেও নিয়ন্ত্রণ করেছে। মনে আছে, কোনো একটা কবিতা পাঠের আসরে একজন তাঁকে প্রশ্ন করেছিল, “ধরুন ক্লাসে যাচ্ছেন, হঠাৎ কোন একটা কবিতার লাইন আপনার মাথায় চলে এল। তখন আপনি কী করেন?”শঙ্খবাবু অকপট গলায় বলেছিলেন, “ওই ক্লাস নেওয়াটা আমার কাজ, আমার পেশাগত বাধ্যতা। সেটা না নিয়ে অন্য কিছু করার খোকামি আমি উচিত বলে মনে করি না।” সংলাপটা হুবহু মনে নেই, কিন্তু তাঁর পক্ষে যথেষ্ট কর্কশ ‘খোকামি’ শব্দটা মনে আছে। নিয়মিত ক্লাস করাতেন, আমি অন্তত খুব বড় কোন দুর্যোগ বা অসুস্থতা ছাড়া ছুটি নিতে দেখেছি বলে মনে পড়ে না। আমাদের পক্ষে অসীম সৌভাগ্য বলে মানি, সে বছর কোন কারণে শঙ্খবাবুকে অনেকগুলো বই পড়াতে হয়েছিল আমাদের। সব কটিই রবীন্দ্রনাথের। ‘বিসর্জন’, ‘রক্তকরবী’, ও দিকে ‘গোরা’,‘চতুরঙ্গ’, আবার ‘সাহিত্যের পথে’। প্রায় শঙ্খ ঘোষের হাত ধরে রবীন্দ্র পরিক্রমা ঘটেছিল আমাদের। এটা বললেই যথেষ্ট হবে যে প্রত্যেকটা বই একেবারে ধরে ধরে পড়িয়েছিলেন, কোথাও কোনো অবহেলা বা তাড়াহুড়োর ছাপ না ফেলে। বোঝা যায়, এই অধ্যাপকের টাইম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপারটা সাংঘাতিক।

যখন অধ্যাপক হয়ে আসি, তখন একটা সাপ্তাহিক পাঠচক্র তৈরি হয়েছিল, মুখ্যত শঙ্খবাবুর উদ্যোগে। প্রতি সপ্তাহে একদিন করে বিভাগের মাস্টারমশাইয়েরা বসবেন, সে সপ্তাহে কে কী নতুন বই পড়লেন, সে পাঠের সূত্র ধরে কে নতুন কী ভাবলেন তাই নিয়ে কথা হবে। বলা বাহুল্য, সিনিয়র অধ্যাপকেরা খুব কথা বলতেন না, আমাদের মত ছোকরাদের যাচাই করা এবং প্রণোদিত করার জন্যেই এই ব্যবস্থা। কিন্তু সেখানেও দেখেছিলাম, কী আশ্চর্য মেধা মানুষটির। যে বইয়ের কথাই ওঠে, প্রায় সব কটাই পড়ে ফেলেছেন তিনি এবং বিশ্লেষণ নিয়ে তো কোন কথা হবে না।

কেমন পড়ানোর ধরন ছিল শঙ্খ ঘোষের? অসম্ভব ধৈর্যশীল সেই পড়ানো, ফুলের দোকানের ধৈর্যশীল মালি যেমন একটা একটা করে পদ্মের পাপড়িগুলো মেলতে মেলতে পুরো ফুলটাকে চোখের সামনে ধরে দেয়, সেই রকম। খুব ছোট, আমাদের সবাইকার প্রায় জানা কতকগুলো জায়গা থেকে শুরু করেন তিনি, কখন যে দুরূহ সব রাস্তায় নিয়ে যান টের পাওয়া যায় না। আর একটা কথা, মতভেদকে যে কী অপরিসীম প্রশ্রয় দিতেন, ফলে তাঁর সঙ্গে তর্ক করতে আমাদের কোথাও বাধত না। একধরনের অধ্যাপক আছেন, তিনি যা বলবেন, তাই ভগবদ্বাক্য, তাই চূড়ান্ত। তাঁরা কোনোভাবে ছাত্রকে বাড়তে দেন না। শঙ্খবাবু কিন্তু অন্য রকমের কথা কেউ বললে বা লিখলে তাকে একটু বাড়তি প্রশ্রয় দেন, টিউটোরিয়ালে এক-দু নম্বর বেশি, এ আমি বহুবার দেখেছি। এই উদারতা মাস্টারমশাইদের মধ্যে ক্রমশ দুর্লক্ষ হয়ে উঠছে।

‘রক্তকরবী’ ক্লাসের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতার কথা বলেছিলাম একেবার প্রথমেই, এবার জানাই, শঙ্খবাবুর কাছে ছন্দ পড়েছি আমরা, অনার্স পড়বার সময়, রক্তকরবীর আগেই। সেও এক মজার ক্লাস। ছন্দের নানা রকম পারিভাষিক শব্দ আছে, কোন শব্দটা ঠিক, উচিত তাই নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে মতভেদ আছে। কিন্তু ছন্দের ক্লাসে বেশ কিছুদিন আমাদের শুধু তালে তালে কবিতা বলা শিখতে হত। ধরা যাক, ‘দুন্দুভি বেজে ওঠে ডিমডিম রবে/সাঁওতাল পল্লীতে উৎসব হবে/পূর্ণিমা চন্দ্রের জ্যোৎস্না ধারায়/সান্ধ্য বসুন্ধরা তন্দ্রা হারায়’। বোর্ডে লিখে দেওয়া হল এই চারটে লাইন, আমরা ঝোঁক দিয়ে দিয়ে পড়ছি আর কলম দিয়ে টেবিলে খট খট আওয়াজ করছি, তালে তালে। একটু থামতে স্মিত মুখে ব্যারিটোন আওয়াজে শঙ্খবাবু বলছেন, “মনে হচ্ছে কোথাও বাড়িতে ছাদ পেটানো চলছে।”

অ্যালবাম ঘেঁটে দেখা গেল, একটাইমাত্র ছবি তাঁর সঙ্গে আমার। বিয়েতে এসেছিলেন, মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম, ফটোগ্রাফার অজানিতে তুলে নিয়েছেন। অথচ তার বাইরে কতবার কত উপলক্ষ ঘটেছে, কতবার তাঁর বাড়িতে গেছি, পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার কথা কখনো মনেও পড়েনি। কী বলবেন, নির্বোধ? হবে। আসলে মানুষ তো ছবি তোলে সুদূর নদীর কাছে গিয়ে, প্রতিদিন যে জল অঞ্জলি ভরে নেয়, তার ছবি কি আর তুলে রাখে কেউ?

এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *