সৈয়দ কওসর জামাল
কিছুই করি না আমি, মাঝে মাঝে শুধু থাকা আর না-থাকার
মাঝখানে বাইসনের সিং-এর মতন মাথা নাড়তে নাড়তে হেঁটে যাই
মৃদু কোলাহল করে চলে যায় সুখী মানুষের ক্যারাভান
ক্ষোভ আর প্রতিশোধস্পৃহা নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে অশ্রুপাত
আমি তার কতটুকু জানি
আমি শুধু বসে থাকি হাটখোলা আকাশ দরজার ধারে একা
স্থাণু নই বলে পাথরের মতো ঘুরি আর দেখি চোখের বিলাপ
কাঁদে কেউ যেন শব্দ করে ভেঙে পড়ে বিষণ্ণ লোহার সেতু
এসব কিছুই জানা ছিল না আমার, যদি না লোহার টুকরো
ছিটকে এসে পড়ত শান্ত খাবার টেবিলে
বলেছি যদিও, সাঁকো, তুমি তো ছিলেই ভাঁজ-করা আমার পকেটে
আজ কেন পেরোলে নদীটি
আজ কেন যোগসূত্র হয়ে আমি পেতে রাখি দুই হাত সমুদ্রের দিকে
এসব আমার নয়, আমি শুধু চিনি অবসন্ন চোখদুটি
সবসময় যারা আমাকে আয়নার থেকে দূরে রাখে
হেমন্তের হলুদ পাতার দিনে আমি এক শিকারীর মতো
লক্ষ্য স্থির করে বসে থাকি যেন ধনুকের টানটান ছিলা
যে কোনো মুহূর্তে ছুটে যাবে তির ঈশ্বরের অট্টহাসির দিকে
এও এক সাময়িক প্রতিক্রিয়া, হঠাৎ যেভাবে স্বপ্নে আকাশ ভেঙেছে
যেভাবে আমার অন্তর্গত কক্ষপথে জ্বলে ওঠে মায়াবী আলোরা
তারপর স্তব্ধ হয়ে বসে থাকি, কিছুই করার নেই আর
পৃথিবীর জলজ সমাধি আজ—সাঁতার জানি না
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন