জয়তী রায়
আমি একজন কবিকে ভালোবাসি। তিনি বিখ্যাত। খুব বিখ্যাত। প্রায় প্রতিদিন তার লেখা নিয়ে হইচই। আর আমি ততখানি অখ্যাত। অখ্যাত না বলে কুখ্যাত বলাই বোধহয় ঠিক। আচ্ছা, একজন কুখ্যাত তরুণী কি একজন বিখ্যাত কবিকে ভালোবাসতে পারে? এমন কোনও প্রেমকাহিনী লেখা হয়েছে আজ পর্যন্ত? নাহ্। আগেই প্রত্যাশার গোড়ায় জল ঢেলে দিই, কবির সঙ্গে আমার প্রেম হয়নি। প্রেম তো দূরের কথা, কথাই হয়নি। একবার শুধু একবার মাত্র, বইমেলায় ওঁর কাছে পৌঁছনোর চেষ্টায় ছিলাম। অকথ্য ভিড়। চ্যাপ্টা হতে হতে সদ্য কেনা বইটা এগিয়ে দিয়েছি অটোগ্রাফ নেওয়ার জন্য। উনি অবাক চোখ মেলে তাকালেন। অস্ফুটে বলে উঠলেন, ‘আপনাকে কোথায় যেন দেখেছি!’
বিশ্বাস করুন, স্বপ্নালু টানা টানা দুটি চোখের মায়াময় ভঙ্গি করে কথাটা আমার দিকেই তাকিয়ে বললেন! অদ্ভুত আবেগে ভাসতে ভাসতে বইমেলা শেষে, ভিড় বাস, কামুক পুরুষের কনুইগুঁতো সব এক ঝটকায় অস্বীকার করে পাখির মত বাড়ি ফিরেই দুর্ঘটনার খবরটা পেলাম। পাখি থেকে গুটিয়ে কেন্নো হয়ে গেলাম যখন, তখন আমার বয়স কুড়ি।
পরিবার বলতে মা বাবা আর আমরা তিনবোন। আমি পারমিতা। বড় বোন। পরের দুটো শমিতা, নমিতা। কুড়ি, সতেরো, পনেরো পরপর। নামের যেমন বাহার নেই, চেহারার তেমন টান নেই। লোক বলে, ‘পারো। তুই তবু দেখনধারী। কিন্তু, পরের দুটোর বিয়ে দিতে কষ্ট হবে।’ বাবা এসব পাত্তা দিতেন না। যে খায় চিনি, তাকে যোগান চিন্তামণি। এমন দর্শনে যার বিশ্বাস, তিনকন্যা কেন তিনশ কন্যার বাবা হলেও তিনি দিব্য গুণগুণ গান গাইবেন। মাঝে মাঝে বর্ষায় বেলফুল নিয়ে চলে আসবেন। পলিথিন প্যাকেট করে হাঁসের ডিম। হঠাৎ পাটালি, এক প্যাকেট দুধ, পাড়ার দোকানের গরম বেগুনি। গরীব হলেও, পরিস্থিতি জটিল ছিল না। এখনও চোখ বন্ধ করলে ছবি ভেসে ওঠে। ভাড়া বাড়ি। টুকরো বারান্দায় চাঁদের আলো। রেডিও চালিয়ে লালকালো কাপে করে চা খাওয়া। বাবার ঘাম চকচক কপালে হাত। গান শুনতে শুনতে মুখে ফুটে ওঠা অপার্থিব হাসি। বারান্দার এক কোনে বেলফুলের টব। ফাঁকফোঁকর দিয়ে দখিনা বাতাস। কিছু স্মৃতি আছে, হাজার চেষ্টাতেও মুছে ফেলা যায় না। ওই ছবি ঠিক তেমনি। এখন বুঝি, ওই সময়টুকু ছিল বাবার নিজস্ব। ওখানে সংসারের প্রবেশ নিষেধ। হয়ত ছিল কোনও অহঙ্কারের জগৎ। সকলেরই তো থাকে। ছোটবেলায় বায়না করলে বাবা বলতেন, ‘দারুচিনি দ্বীপে যাবি?’ কান্না থামিয়ে অবাক হয়ে বলতাম, ‘সেখানে কী আছে?’
‘দেদার মজা।’
‘এগরোল পাবো? চাউমিন!’
বাবা ঘর ফাটিয়ে হেসে উঠতেন। তুই এই-ই চাস? সোনা দানা হীরে মুক্তো কিছু না?
ধুর সোনা দানা। ওসব কী হবে! বড়জোর ক্লাসের নাক উঁচু মেয়ে মনিকার মত একটা জুতো যদি পেতাম! জুতোটা বড্ড খারাপ। স্কুলে বেশ লজ্জা করে।
অবাক কান্ড বটে! ছোটবেলার চাওয়ার সঙ্গে বড়বেলার স্বপ্নগুলোর মিল কেন নেই? বড়দের জীবন সরল চাহিদায় বিশ্বাস করে না। এখন যদি জিজ্ঞেস করত বাবা? কী চাই আমি? চোখের পলক না ফেলে উত্তর দিতাম, ‘কবির সঙ্গে কফি খেতে চাই।’ ইশ, কী মজাই না হত! কফিশপের কাঁচের দরজার বাইরে ঝিমঝিম বৃষ্টি। টুংটাং চামচ। কফির গন্ধ। কম কম আলো। সামনে কবি… অবাক দৃষ্টিতে জিজ্ঞাসা, আপনাকে কোথায় দেখেছি বলুন তো!
উফফ। একেবারে মারকাটারি দৃশ্য। মুশকিল কি হল জানেন, আমি আর পাখি রইলাম না তো! কেন্নো হয়ে গেলাম। কেন্নোর সঙ্গে কফি? নাহ্। সেটা বোধহয় সম্ভব না। আর… আর ওই দারুচিনি দ্বীপ? যেখানে নানারকম ভুলভাল স্বপ্নের জন্ম হয়, তার ঠিকানা দেবার আগেই বাবার অ্যাক্সিডেন্ট হল। ইদানিং চোখে ভালো দেখতেন না। চেনা রাস্তা পার হবার সময় অচেনা গাড়ি ধাক্কা মেরে পালিয়ে গেল। পড়ে রইল রেডিও আর লাল কালো চায়ের কাপ।
পড়ে রইল মা, দুটি বোন আর আমি। আমিই বড়। কলেজ ছেড়ে চাকরি নিলাম। এগুলো আসলে ভগবান বলে লোকটার কারসাজি। যা ইচ্ছে তাই করবেন উনি! পুরো হিটলার। কোন পাকা ধানে মই দিয়েছিলাম আমরা? মা তারপরেও পরম বিশ্বাসে পুজো করেন। শঙ্খ বাজিয়ে ধূপ দেখান। তবে একটা ভালো খবর হল, বাড়িওয়ালা তেড়ে এলোনা। মৃদুকঠিন স্বরে বললেন, ‘চারটে প্রাণী তোমরা। পারমিতা কী এমন চাকরি পেল যে খোরাক যুগিয়ে ভাড়া মেটাবে?’
চাকরি নিলাম। কীরকম মধুর সংলাপ তাই না? কারা বিশ্বাস করে এই ফালতু কথা? কারা বিশ্বাস করে সন্ধ্যা সাতটায় কন্যা ফিরছে বাড়ি, নির্মল হাসিখুশি সুতির শাড়ি ঝোলা ব্যাগ, হাতে টুকিটাকি! অভাগা মা ছাড়া কেউ বিশ্বাস করবে না। তাদের তেল হলুদের দুনিয়ায় অতি মূল্যবান মশলা হল বিশ্বাস। পৃথিবীতে তাদের সন্তান সব করতে পারে। কেবল কোনও অন্যায় কাজ করতে পারে না! ক্লান্ত চশমার ফাঁক দিয়ে হেরে যাওয়া সন্তানকে দেখে একগাল হেসে বলে, ‘এলি? চা খাবি। বোস একটু। আজ অনেক চাপ ছিল?’
চাপ ছিল। তিন শিফটে কাজ। তার মধ্যে একটা বুড়ো আর দুটো ছিল স্কুল পড়ুয়া দামাল কিশোর। ধকল গেছে খুব। মা জিজ্ঞেস করে ‘হ্যাঁরে, মিনতি ভালো আছে? তোর বুধবার ছুটি তো? মিনতি খাবে সেদিন? রান্না করব?’
মায়ের চোখে বৃষ্টিভেজা গন্ধরাজ ফুলের মত সরল কৃতজ্ঞতা। মিনতিদি চাকরি না দিলে, মিনতিদি ভরসা না দিলে, সাহস না দিলে, আজ ভেসে যেত সংসার! পরিষ্কার সোজা কথা বলেছিল মিনতিদি ‘শোন, চাকরি কোথাও নেই। তোর জন্য নেই। আমার মাসাজ পার্লারে কাজ করবি? সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ডিউটি। আমি আর তোর দাদা মিলে চালাই। দ্যাখ। চাপ নেই।’
প্রথমে রাজি হইনি। এটা কী ধরণের প্রস্তাব? রাগ, দুঃখ, কষ্ট একসঙ্গে চেপে বসেছিল। ফিরে আসবার সময়, হাত ধরেছিল মিনতিদি ‘পারমিতা। প্লিজ, রাগ করিস না। আমি যা, আমি তাই।’
‘তোমারও একটা মেয়ে আছে। ভুলো না।’
‘তিন্নি?’ মিনতিদি হাসল। ছুঁড়ে দিল অনুকম্পার হাসি ‘তিন্নি এখন বড়লোকের মেয়ে রে। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে। তুই তো তা নোস।’
বাড়ি থেকে বেরিয়ে এক গলি। গলি পেরিয়ে বড় রাস্তা। ওখান থেকে বাস ধরি। তাঁতের শাড়ী নতুবা সালোয়ার কামিজ। গলায় কোম্পানির মিথ্যা নাম লেখা কার্ড। ব্যাগে টিফিন বক্স। সব পরিপাটি। অখ্যাত গলির মুখে মস্ত পলাশ গাছ। এখন ফুলে ফুলে ভরে আছে। ওকে দেখে রাগ হয়। হিংসা হয়। মনে মনে নিজেকে বলি ‘ওরে পারো, তুই গাছ হলেই পারতি।’ তবে তাতেও রেহাই নেই। গাছের গোড়ায় রাজ্যের নোংরা ফেলে রাখে লোক। গাছ তো মৌন। পারমিতার মতই।
কবিকে মনে আছে তো? যার প্রেমে হাবুডুবু সেই আঠেরো থেকে, তিনি কিন্তু বহাল তবিয়তে আছেন। বরং আরো বেশি করে আঁকড়ে ধরেছি তাকে। আজকাল ভালোই টিপস পাই। পয়সা জমছে। ব্যাঙ্কের বই হয়েছে। শাড়ি-টাড়ি, লিপস্টিক, গয়নাও দেয় কেউ কেউ। বিশেষ করে কুমুদবাবু। বিপত্নীক অবসরপ্রাপ্ত কুমুদবাবুর সারা শরীরে তেল মালিশ করতে করতে বাবার কথা মনে পড়ে যায় কখনও। ওই হিটলার ভগবানের কারসাজি আর কী! যে লোকটা একটু পরে শোবে আমার সঙ্গে, তাকে দেখে বাবার কথা মনে পড়া! দেখা হলে কখনও এইস্যা দেব না… বেরিয়ে যাবে ঠাকুরগিরি। তো, এই কুমুদবাবু প্রায়ই বেশি বেশি টাকা দেন। আমি বকুনি দিলে বলেন, ‘পাগলি! নে না তুই। তোর তো আবার বই কেনার নেশা। সেটা কোত্থেকে হবে শুনি? জানিস পারো, টাকা খরচ করার জায়গা নেই আমার। রেখে যাব কার জন্য?’
এইসব সময় বুকের ভিতর কেমন উথলে ওঠে। দুঃখের কতরকম চেহারা হয়। আমার টাকা নেই আর কুমুদবাবুর টাকা ভোগ করার লোক নেই! দুটো ছেলে। দুটোই বিদেশে।
বলছিলাম কবির কথা। হ্যাঁ, উনি সঙ্গে সঙ্গেই থাকেন। অবসর পেলেই বই নিয়ে বসে পড়ি। শব্দগুলো ঝাঁপিয়ে পড়ে টেনে বার করে সেই ভীতু পাখিটাকে। আবার উড়তে বলে। আবার হাসতে বলে। আবার নির্জন আলোয় বসে কফি খেতে বলে। ধুর! হয় না কি! পাখি থেকে কেন্নো হওয়া যায় কিন্তু কেন্নো থেকে পাখি? জানিনা। আপনি জানেন?
বোন দুটো বড় হচ্ছে। পড়াশুনো করছে। ওদের চোখেমুখে আত্মবিশ্বাস উপচে পড়ছে। মেজোবোন দু’চারটে টিউশন করে। ছোটবোন খুব ভালো টেনিস খেলে। নাম ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। পরিবার ভালোই আছে। ধীরে ধীরে জমি শক্ত হচ্ছে আমাদের। বাড়িওয়ালা কূট চোখে তাকিয়ে ভাড়া নিয়ে যায়। পাত্তা দিই না। মাঝে মাঝে ভালো মন্দ রান্না হয় বাড়িতে। পাটভাঙা শাড়ি পরে বিকেলে বারান্দায় বসে লাল কালো কাপে চা খেতে খেতে মা বলেন, ‘ঠাকুর আছেন।’ কাছে বসলে মাথায় হাত রাখে। কী যেন বলতে গিয়েও বলে না। বিয়ের কথা ভাবে বোধহয়। মা জানেনা, বিয়ে না করেই রোজ ফুলশয্যা হয় আমার।
আজ পার্লারে ঢুকে দেখি, খুব ব্যস্ত ভাব চারিদিকে। হঠাৎ করে খবর এসেছে ভিআইপি কাস্টমার আসবেন। বাইরের কোনও লোক আজ ঢুকবে না। হাবিবদা নিজে তদারকি করছে।
মিনতিদির বর হাবিবদা অদ্ভুত মানুষ। পুরো নাম হাবিব রশিদ চৌধুরি। পার্লারের মেয়েগুলোর প্রতি খুব ভালো ব্যবহার করে। মুগ্ধ হয়ে যাই। পুরুষ মানুষ। অথচ চোখে কাদা নেই।
আমাকে দেখেই দাদা বলল, ‘আজ লাল ড্রেস। স্পেশাল লোক। তাড়াতাড়ি।’
মিনতিদি হাসি মুখে বলল ‘পারমিতা আমার ভরসা। বুঝলি রে, আজকে উনি খুশি হলে জমি স্যাংশন হবে। পার্লার আরো বড় হবে। তোদের মাইনে বাড়াতে পারব।’
মিনতিদির চোখে ফুটে ওঠে স্বপ্নপলাশ। হাবিবদা ছুটে ছুটে কাজ করছে। চকচক করে সাজাচ্ছে। বাড়িতে ফোন করে জানিয়ে রাখি আজ দেরি হবে ফিরতে। মা বলে ‘বেশি দেরি করিস না।’
‘ওভারটাইম পাব মা। তোমার চোখ অপারেশন এবার না করালেই চলছে না।’
মা চুপ করে যায়। পার্লারে মোট আটজন মেয়ে। আঠারো থেকে ছাব্বিশের মধ্যে বয়স। মাধুরী ছোট। আঠারো। আমি বড়। ছাব্বিশ। সবাই যুদ্ধের জন্য তৈরি হই।
কতদিন শুয়ে আছি বিছানায়? তিনদিন? চারদিন? জানিনা। মনে নেই। মনে পড়ছে না। ঢেউয়ের দোলায় দুলছি যেন। ভুস করে ডুবে যাচ্ছি আবার ভেসে উঠছি। চারিদিকে কালো কালো জল। দম আটকে আসে।
পার্লারে ভিআইপি খদ্দের সেজে সেদিন পুলিশ এসেছিল। মতলব ছিল হাবিবকে জব্দ করার। নেতার বাড়িতে বিদেশি খদ্দেরদের মেয়ে সাপ্লাই করেনি হাবিব। ওদের কথা শোনেনি।
‘না স্যার। নিয়মিত তোলা দেব। মেয়ে দেব না। ওরা বিশ্বাস করে আমাকে!’
‘শালা। একই কাজ তো করবে। বেশ্যাগিরি।’
হাবিবদা ঘাড় সোজা করে রইল। দিতে পারব না স্যার।
‘তোর পেছনে যদি রুল না ঢোকাই। শোন, এটা নেতার দাবি। তার বাড়িতে বিজনেস পার্টি। মেয়ে চায়। দিলে পরে লাল হয়ে যাবি।’
‘স্যার, এরা ভদ্রঘর থেকে আসে। পার্লারের বাইরে যেতে পারবে না।’
বেদম মার খেতে খেতেও হাবিব অটল প্রাচীর। গলায় একরাশ ঘেন্না ছড়িয়ে বলল, ‘দোষী আমি। আর কেউ না। আমার নামে লাইসেন্স। সাজা আমাকে দিন। তব্বে একটা কথা স্যার, ওই কানা পল্টনের নেতাগিরি আমি ঘুচিয়ে দেব। বহুত নীল ছবি আছে আমাদের কাছে। ফাঁস হয়ে যাবে সব।’
আমার গল্পের শুরুটা খারাপ ছিল না। কবি আর কবিতা দিয়ে বেশ একটা রোমান্টিক মুড তৈরি করেও ফেলেছিলাম বলা যায়। পাখি হতে নাই পারি, পরিবারের ভরসা গাছ হয়েছিলাম, এ কথা হলফ করে বলা যায়। কিন্তু ওই যে সেই হিটলার ঠাকুর! তাঁর এসব সহ্য হবে কী করে? তছনছ করে দিলেন সমস্ত। হাবিব জেলে গেল। শরীরময় বদনামের থাবা। কোর্ট কাছারি ঝামেলা। রিপোর্টারের ফট ফট ফটো। ভিতরটা শূন্য হয়ে যাচ্ছিল। বাকি মেয়েগুলো কী করেছিল জানিনা। তবে হাতের শিরা কচাৎ করে কেটে ফেলতে আমার কোনও দ্বিধা হয়নি। এখন এইমুহুর্তে চারিদিকে কালো কালো দুর্গন্ধে ভরা জল, পাঁকের মত আঠালো চটচটেভাব ঘিরে ধরে আমায়। গলা টিপে ধরতে চায়। ঝিমঝিম চেতনায় শুনতে পাই বোনের জোরালো গলা ‘দিদি। ওঠ। আমরা সবাই এসেছি। কিচ্ছু হয়নি তোর। ওঠ বলছি। নতুন করে শুরু করব ওঠ।’
কালোজল সরাতে থাকি প্রাণপণে। আকাশ জুড়ে চৈত্রের পূর্ণিমা। কবিতার শব্দগুলো ঘিরে ঘিরে পথ দেখাতে থাকে। ওই তো একটু দূরেই সাদাবালি। ওই তো কালোজলের উপর চকচক করছে দারুচিনি দ্বীপ। বাবা বলেছিলেন ওখানে সমস্ত সুখ। অনেক আনন্দ। শ্বাসবন্ধ হলে পৌঁছতে পারব না। হে হিটলার ঠাকুর, এট্টু সদয় হও দেখি। আবার পাখি করে দাও আমায়। ছপ ছপ ছপ ছপ শব্দ। জল বাড়ছে। সাঁতার কাটছি। প্রাণপণ। পারব না? কী বলেন? পৌঁছতে পারব না দারুচিনি দ্বীপে?
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন