short-story-nihsharta

নিঃশর্ত
তন্ময় সরকার

ড্রামটা কেরোসিনের লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। দূর থেকে সেদিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখে ফুক-ফুক করে বিড়ি টানছে ড্রামের মালিক রঘু। সামাজিক দূরত্ব রক্ষা এবং ধূমসেবন— দুই-ই হচ্ছে। পৃথিবীর মানুষের মনে ভয় ধরেছে— গা-ঘেঁষাঘেঁষি করে লাইনে দাঁড়ালে এর গায়ের ভাইরাস তার গায়ে লেগে করোনা হতে পরে। কিন্তু ড্রামগুলো অবলা, ওদেরকে মানুষের পরিবর্তে দাঁড় করিয়ে দেওয়া যায়। তাই ওরা প্রতিবাদ করতে পারে না৷ একটা ড্রামের গায়ে আর-একটাকে ঠেকনা দিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে ড্রাম-মালিকরা মনে মনে নিজের পশ্চাৎ-অবস্থান গুণছে৷ যেমন রঘু বিড়িতে জুতমতো টান দিয়ে গুণল— আর সাতজনের পিছনে। রঘুর গলায় একটি বাঁধা-রুমাল ঝুলছে। না, জামার কলারের ময়লা আটকাতে এটি গলায় ঝোলানো হয়নি৷ এ আসলে মাস্কের বিকল্প। ডাক্তারি মাস্ক বাড়িতে একটা আছে অবশ্যি। ইলেকশনের আগে রোড শো-তে যাওয়ার সময় পার্টি থেকে দিয়েছিল। সেটা নাকে চাপিয়ে চারশো সাতের পিঠে চেপে হইহই করে মন্ত্রী দেখতে গিয়েছিল রঘুরা। বাড়ি এসে বউকে কাচতে দিয়েছিল। ও মা, কাচার পরে তার এমন হাল হবে কে জানত! ওটা নাকে চাপালে লোকে উলটে রঘুকে করোনা-রুগি ভাবে। সারা গায়ে তুলো উঠে গিয়েছে মাস্কটার। সেই তুলো নাকের মধ্যে ঢুকে এমন সুড়সুড়ি দেয়, হেঁচে সারা হয় রঘু। তার চেয়ে এই রুমালই ভাল।

বিড়ি শেষ করে রঘু আবার গোণে— আর পাঁচটি ড্রাম আছে সামনে। রঘু ভাবে— রেশনের দোকানে কেরোসিন তেলের কাছে পৌঁছনোর এই দৌড়ই জীবনের সার সত্য। আপত শান্ত, ভদ্র এই প্রতিযোগিতা আসলে খুবই মায়াদয়াহীন আর স্বার্থপর। ড্রামগুলো লাইনে দাঁড়িয়ে, আর তাদের মালিকরা শ্যেনদৃষ্টিতে সেদিকে চেয়ে আছে। এখন দেখা যাবে মজা, বেরিয়ে যাবে ভদ্রতা, যদি রঘু গিয়ে হুট করে ওর ড্রামটা তুলে তিনটে ড্রামের আগে বসিয়ে দেয়। ভাবতেই হাসি পেয়ে যায়। হাসির বেগ আরও প্রবল হয় এটা ভেবে যে, যে-ড্রাম নিয়ে ও এত হুজ্জতি দেখাবে, এরা জানে না, ও আসলে ওই ড্রামের মালিক নয়। এমনকি যে রেশন কার্ডগুলোর জোরে রঘু গর্বের সঙ্গে ড্রামের মুখ খুলে ধরবে ডিলারের সামনে, সেগুলোও ওর নয়। সুশান্ত বিশ্বাসের।

সুশান্ত বিশ্বাস ভালবেসে কার্ডগুলো আর ড্রামটা দিয়েছিল। ভালবেসে, নাকি দয়া করে? সে সুশান্ত বিশ্বাস বলতে পারবে। রঘুর তখন অবস্থা খারাপ। সদ্য পা-প্যাডেল ভ্যান-রিকশায় একগাদা টাকা ঢেলে টোটোর ইঞ্জিন বসিয়েছে, লকডাউন হয়ে গেল। অস্বীকার করে লাভ নেই, সেই অকুল পাথারে হাবুডুবু খাওয়ার সময় পাশে দাঁড়িয়েছিল সুশান্ত বিশ্বাস।

রাস্তার উলটোদিকের দোতলা বাড়িতে সুশান্ত বিশ্বাসের আড়াই জনের পরিবার বাস করে। সুশান্ত, ওর স্ত্রী রঞ্জিতা, আর সাত বছরের মেয়ে অলিভা। যদিও আদি পরিবারটি সাড়ে পাঁচ জনের। সেখানে থেকে দু’জনকে ছেঁটে ফেলে পৈতৃক ভিটের পাশে জমি কিনে দোতলা বাড়ি তুলেছে স্কুল মাস্টার সুশান্ত বিশ্বাস। সুশান্তর ভরসা না থাক, যেটুকু টান ছিল মা আর ভাইয়ের প্রতি, রঞ্জিতা সেই টানের রশি যাতে ছিঁড়ে যায়, তার জন্যে যথাসাধ্য করেছে। তাই পাশের টালির চালের তলায় সুশান্তর মা সরমা পড়ে আছেন। ভাই প্রশান্ত মুম্বইয়ের কোনও কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে লেবারের কাজ করে। লকডাউনে তার কাজ বন্ধ। বাড়ি ফেরার পথও বন্ধ। মুম্বইতে তার সঞ্চয় শেষের দিকে, এদিকে সরমার রসদও বাড়ন্ত। এই দুর্বিপাকে মা-কে সুশান্ত দেখে। তবে সেই দেখার অ্যাকসেলেটরে কন্ট্রোল রাখার জন্যে ব্রেকের অধিকার সুশান্ত সম্পূর্ণ দিয়ে রেখেছে রঞ্জিতাকে। এভাবেই দ্বিধাবিভক্ত সংসারের গাড়ি চলছে রঘুর বাড়ির ঠিক উলটোদিকে।

কেরোসিনের ড্রাম হাতে ঝুলিয়ে পাড়ায় ঢুকতেই রঘু একটি জটলার মুখোমুখি হল। রঘু জানে, কয়েকদিন হল সুশান্তর মা সরমার শরীর খারাপ। সত্তর ছুঁই-ছুঁই বৃদ্ধার জ্বর এসেছিল সপ্তাহখানেক আগে। ক্লাবের ছেলেরা সুশান্তকে বলেছিল মায়ের করোনা টেস্ট করাতে। সুশান্তর ইচ্ছে থাকলেও রঞ্জিতার চোখের শাসনে সে দমে গিয়েছিল। শেষে পাড়ার দাদা রাজু তার অনুগামীদের সাহায্যে সরমাকে হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে করোনা টেস্ট করিয়েছিল। আজ রাজুর মোবাইলে রিপোর্ট এসেছে, সরমা করোনা পজিটিভ। এখন যে জটলা, সেটা মূলত সুশান্তর ছেঁড়া পরিবারের উপর সামাজিক চাপ সৃষ্টি আর কিছুই নয়। রঞ্জিতা চিল্লিয়ে রাজুকে বলছে, “তুমি টেস্ট করিয়েছ, তুমিই সেফ হোম নাকি গুষ্টির হোম– সেখানে নিয়ে যাও না বাপু! ওকে নিয়ে আবার টানাটানি করছ কেন? জানো তো ও শ্বাসকষ্টের রুগি। ওকে করোনা ধরলে সংসারটা আমার ভেসে যাবে!”

রঞ্জিতার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে সুশান্ত। মুখের অভিব্যক্তিতে অসহয়তা পরিষ্কার ফুটে উঠেছে। বারবার কিছু বলতে যাচ্ছে সে, আর সরমা ধমকাচ্ছে, “তুমি একটা কথাও বলবে না! যা বলার আমি বলছি!”

কেরোসিন তেলের ড্রাম হাতে রঘু হাজির হতেই দু’জোড়া চোখের দৃষ্টি পড়ল তার উপর। একটিতে কঠোর নির্দেশ, যেন বলছে, ‘তুই আমাদের নুন খেয়েছিস। নিমকহারাম হোস না। সুশান্তর এই বিপদের সময়ে তোর উচিত ইঞ্জিন লাগানো ভ্যান বের করে ওর মাকে নিয়ে হাসপাতাল কী হোম— যেখানে হোক সেখানে নিয়ে যাওয়া।’

আর-এক জোড়া চোখের চাহনি করুণ। সেখানে অনুরোধ, ‘উদ্ধার কর ভাই! তোর বিপদে আমি পাশে ছিলাম, আজ আমার বিপদে দয়া করে পাশে দাঁড়া!’

কেরোসিনের ড্রাম আর কার্ডগুলো ঘরে রেখে উঠোনে রাখা ভ্যান-রিকশার তালা খুলল রঘু। রঘুর বউ রিক্তা জিজ্ঞেস করল, “তুমি কি ভাড়ায় যাচ্ছ? কখন ফিরবে?”

রিক্তার কথার জবাব না দিয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়াল রঘু, “রাজু, চল দেখি জেঠিমাকে কোথায় নিয়ে যাবি, আমি নিয়ে যাচ্ছি।”

স্কুল-শিক্ষক সুশান্ত বিশ্বাসের পরিবারকে বয়কট করেছে এই পাড়া। রাজুর নেতৃত্বে একঘরে করে দেওয়া হয়েছে তাদেরকে। নিজের অসুস্থ মায়ের পাশে দাঁড়ায় না যে ছেলে, সে আবার কিসের মাস্টার? সে তো সমাজের কলঙ্ক! মুখ পুড়েছে সুশান্তর। সেই পোড়া মুখ সে আর কাউকে দেখাচ্ছে না গত তিন-চার দিন।

গভীর রাত। দরজায় টোকা। বিছানায় ধড়ফড়িয়ে উঠে বসে রঘু। পাশে বউ রিক্তা আর ছেলে অতনু অঘোরে ঘুমোচ্ছে। বারান্দার বালবটা কেটে গিয়েছে আজ ছ’দিন। ঘরের আলো জ্বেলে দরজা খুলতেই চমকে ওঠে রঘু।

“তুই তো রোজ যাচ্ছিস, মা কেমন আছে?” কাতর স্বরে জিজ্ঞেস করে সুশান্ত।

সুশান্তর পিছনে দাঁড়িয়ে আছে রঞ্জিতা। ঘরের আলোয় তার মুখচ্ছবি যেটুকু দেখা যায়, তাতে মনে হয় সে খুবই বিরক্ত হয়েছে সুশান্তর কথায়, “বাজে কথা ছাড়ো! যে কাজে এসেছ, সেটা মেটাও আগে!”

“ভিতরে তো ঢুকতে দেয় না,” রঞ্জিতার কথার ঝাঁজ অস্বীকার করে সুশান্তকে উত্তর দেয় রঘু, “তবে যেটুকুন জানতে পারলাম জেঠিমার শরীলে কোনও সমস্যা নাই। এখনও প’ন্ত ভালই আছে।”

“খেতে-টেতে দিচ্ছে ঠিক মতো?” যতই রঞ্জিতার শাসানি ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলুক, এটুকু জিজ্ঞেস না-করে পারে না সুশান্ত।

“সরকারি জায়গা…” লম্বা হাই তোলে রঘু, “বোঝোই তো… খাবারদাবারও সরকারি। তবে বাইরে থেকে খাবার দিলে ওরা পৌঁছে দেবে বলেছে। কিন্তু আমার হাতে তো…”

“কতদিন রাখবে?”

“আগে চোদ্দদিন রাখত, এখন নাকি সতেরো দিন রাখার নিয়ম হইছে।”

আর সহ্য হয় না রঞ্জিতার। তার চোখের তারায় এতক্ষণে আগুন ধরে গেছে, “ফালতু গপ্প জুড়েছ এই রাতদুপুরে! বাদ দাও এসব, কাজ সারো তাড়াতাড়ি!”

রঞ্জিতার ধমকে যেন সম্বিত ফেরে সুশান্তর। দ্রুত হাত চালায় বুকপকেটে। এক বাণ্ডিল গার্ডার মারা টাকা বের করে এগিয়ে ধরে, “এখানে দশ হাজার টাকা আছে। তোর কাছে রাখ।”

“এত টাকা দিয়ে আমি কী করব সুশান্তদা!” ঘুমের রেশ মুহূর্তে উধাও হয়ে যায় রঘুর, “টাকাপয়সা দিতে হবে না। ওসব তোমার কাছে রাখো। আমি দেখি কাল যা পারি কিছু দিয়ে আসব।”

আবার ধমকে ওঠে রঞ্জিতা, “খুব পয়সার গরম হয়েছে দেখছি তোর! যা দিচ্ছে রেখে দে! যা খরচ হবে, হবে। বাকিটা তোর।”

তারপর সুশান্তর ডান হাতের কনুই ধরে হেঁচকা টান মারে, “চলো!”

টাকার বাণ্ডিল হাতে পাথরের মূর্তির মতো দরজায় দাঁড়িয়ে থাকে রঘু।

দুই

পেপারে জেলার পাতায় খবর উঠেছে— ‘হবেই জয়! করোনা জয়ী সত্তর বছরের বৃদ্ধা!’ রঙিন ছবি ছাপা হয়েছে সরমার। রঘুকে ডেকে পেপারটা দেখাল রাজু। রঘুর মুখটা আলো হয়ে গেল। রাজু বলল, “এই দ্যাখ, তোর নাম লিখেছে!”

“আমাকে একটু পেপারটা দিবি? জেঠিমাকে দেখাব!” বলে রঘু যেই হাসি মুখে খবরের কাগজের দিকে হাত বাড়িয়েছে, ঠিক সেই সময় উলটোদিকের দোতলা বাড়ির বারান্দায় বেরিয়ে মরা কান্না কেঁদে উঠল রঞ্জিতা, “ও রাজুরে… ও রঘুরে… তোদের দাদা বোধ’য় আর বাঁচবে না…”

প্রবল শ্বাসকষ্ট উঠেছে সুশান্তর। তার বাড়ি থেকে পনেরো-কুড়ি গজ দূরত্ব রেখে পাড়ার লোক এসে দাঁড়িয়েছে। কেউ কাছে এগোচ্ছে না। রাজু হুঙ্কার ছাড়ছে, “খবরদার কেউ যাবে না! নিজের মা-র শরীর খারাপের সময় মনে ছিল না? শালা কাপুরষ! স্ত্রৈণ! মরুক গে যাক! ওসব হল সমাজের শিক্ষিত বিষ! বেঁচে থাকলে সমাজের ক্ষতি, মরে গেলে বরং উপকার!”

কেউ কেউ মিনমিন করল, “যাই করুক, এখন বিপদের সময়… একটা টোটো-অটো যাহোক কিছু ডেকে তো দিক… তারপর ওরা নিজেরা যা পারে না-হয়…”

রাজুর কানে কথাটা গেল। সে গলার স্বর সপ্তমে তুলে আবারও চিল্লিয়ে উঠল, “একদম না! দেশে শালা পাপীর বিচার নেই! এইভাবেই ভগবানের শাস্তি ভোগ করুক!”

রাজু হল ক্লাবের হর্তাকর্তা, পার্টির নেতা। রাজু হল পাড়ার দাদা। তার নামে তিনটে মার্ডার কেস। তার কথার উপরে কথা বলার হিম্মত এই পাড়ার কারও নেই। সবাই জানে, থানার বড়বাবু পর্যন্ত রাজুকে ডরায়, এই পাড়ার আম-আদমি তো কোন ছার!

কিন্তু ডরাল না রঞ্জিতা। তার কান্না হঠাৎ থেমে গেল। উলটে স্বভাবমতো জ্বলে উঠল তার চোখজোড়া। এখন রণচণ্ডীর মতো দেখাচ্ছে তাকে। তার অগ্নিরূপেণু চোখ যেন এই মুহূর্তে পছন্দ করছে ঠিক কোন অসুরকে সে বধ করবে। হঠাৎ তার দৃষ্টির আগুন গিয়ে পড়ল রঘুর উপর, “এই ছোটলোক গদ্দার! তোর জন্যে আমার বর কী না করেছে? রেশনকার্ডগুলো দিয়েছে। কেরোসিন বেচে খাচ্ছিস! আমি হাজার বারণ করা সত্ত্বেও কত হাজার টাকা দিল তোকে! আর তুই! আমাদের এই বিপদে মজা দেখছিস? শালা অশিক্ষিত বেইমান!”

রাজু ভয়ঙ্কর রাগে হামলে পড়ল রঘুর উপর, “তোর এত লোভ! তলে তলে এত? কত টাকা লাগবে তোর বল? কত টাকা! শালা দুমুখো! সাপের গালেও চুমু খাস, ব্যাঙের গালেও চুমু খাস! ভেবেছিস কেউ জানতে পারবে না? কত টাকা লাগবে তোর? বল!”

রঘুর জামার কলার ধরে প্রচণ্ড জোরে ঝাঁকাতে লাগল রাজু। ঘর থেকে ছুটে এল রঘুর বউ রিক্তা, “ছেড়ে দাও ঠাকুরপো! তোমার কিছু ভুল হচ্ছে…”

ইটের ভাটার আগুন যেন জ্বলে উঠল রঘুর চোখে। আর সেই চোখ স্থিরভাবে নিবদ্ধ হয়ে আছে শুধু রঞ্জিতার উপর। মিনিটখানেক চুপচাপ। তারপর ধীরে ধীরে নিভে এল রঘুর চোখের আগুন। মাথা নিচু করে সে ঢুকে গেল নিজের টিনের চালায়।

পাঁচমিনিট পরে রঘু বেরল। ভ্যান নিয়ে। সুশান্তর বাড়ির সামনে দাঁড় করাল ভ্যান। একহাতে ড্রামভর্তি কেরোসিন, অন্য হাতে রেশনকার্ড। সেগুলো সুশান্তর বারান্দায় রেখে পকেট থেকে গার্ডার মারা টাকার তাড়াটা বের করে রঞ্জিতার দিকে এগিয়ে ধরল, “পুরাটাই আছে। দশ হাজার। দাদারে বের করে নিই আসো এবার!”

বাজ-খাওয়া মানুষের মতো স্থির চোখে রঘুর দিকে চেয়ে রইল রঞ্জিতা। রঘু আবার বলল, “দ্যাখো কী? সময় নাই। দাদারে বের করে আনো তাড়াতাড়ি!”

কামারের হাঁপরের মতো উঠছে নামছে সুশান্তর বুক। কোনওমতে তাকে ভ্যানে তুলল রঘু। সুশান্তকে ধরে বসল রঞ্জিতা। রাজু তেড়ে এল, “রঘু, এটা কিন্তু ভাল হচ্ছে না!”

রাজুকে জোরে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিল রঘু, “সর!”

পুঁউউউ… রঘুর ডান হাতের মোড়ায় ছুটে বেরিয়ে গেল টোটোর ইঞ্জিন লাগানো ভ্যান-রিকশা।

এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *